প্রেক্ষাপট
মূল নিবন্ধ: জুলাই বিপ্লব (বাংলাদেশ)
একজন ব্যক্তি ৩৬ জুলাইয়ের গ্রাফিতির একটি ছবি ধারণ করছেন
২০২৪ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে রায় দিলে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। ১৬ জুলাই আন্দোলন প্রাণঘাতী রূপ নেয়। ২১ জুলাই সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় দিলেও আন্দোলনে প্রাণহানিকে “জুলাই গণহত্যা” আখ্যা দিয়ে নয় দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকে। আন্দোলনকারীরা “দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জুলাই মাস গণনা করার” কথা জানান; এইভাবে তারা ১ আগস্ট থেকে ৩২ জুলাই হিসেবে গণ্য করতে থাকেন।[৪][৫] আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৪ আগস্ট (৩৫ জুলাই) থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন এবং ৫ আগস্ট (৩৬ জুলাই) “মার্চ টু ঢাকা” কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। আন্দোলনের সফলতাকে আন্দোলনকারীরা “দ্বিতীয় স্বাধীনতা” এবং এই দিনটিকে “৩৬ জুলাই” হিসেবে অভিহিত করেন।[১][৬]
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে
৩৬ দিন সম্বলিত জুলাই ২০২৪-এর ক্যালেন্ডারের গ্রাফিতি
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরদিন ৬ আগস্ট দৈনিক আজকের পত্রিকা প্রিন্ট সংস্করণের প্রথম পাতায় “জুলাই গণহত্যা” শিরোনামে ৩৪ ও ৩৬ জুলাইয়ে আন্দোলনের সময়রেখা দেখানো হয়।[৭] মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, আকবর আলী প্রমুখ “৩৬ জুলাই” শব্দবন্ধ ব্যবহার করে বক্তব্য রাখেন।[৮][৪]
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশব্যাপী দেয়ালচিত্রে “৩৬ জুলাই”-কে বিভিন্নভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়।[৯] ঢাকার ঝিগাতলায় ডেসকোর দেয়ালে জুলাইয়ের ৩৬ দিনের একটি দিনপঞ্জির গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়, যা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।[১০] এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রভৃতি এলাকায় ৩৬শে জুলাইয়ের গ্রাফিতি দেখা যায়।[১১][৩]