শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। এর গুরুত্ব ও শক্তি অপরিমেয়। শিক্ষার কাছে সব শক্তিই অসহায়। তাই “অসির চেয়ে মসির শক্তি বেশি” বলা হয়। শিক্ষা মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। শিক্ষার গুণেই মানুষ সব সৃষ্টিরও শ্রেষ্ঠ। মানবসভ্যতা ও উন্নয়নের চাবকাঠিও শিক্ষা। দৈহিক উন্নতি ও মানসিক প্রশান্তির জন্যেও শিক্ষার প্রয়োজন। তাই শিক্ষার্জন প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য। দেশ-জাতিকে গড়ে তোলাই সকল শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নযন এবং উন্নতজীবন গড়ার লক্ষ্যে সুশিক্ষার প্রয়োজন। তাই শিক্ষা হতে হবে সুশিক্ষা; যে শিক্ষা জীবনঘনিষ্ট, কল্যাণধর্মী, উৎপাদনমুখী, যুগোপযোগী, মনুষ্যত্ব বিকাশধর্মী, বিশ্বাস ও ঐতিহ্যমণ্ডিত। মানবিক মূল্যবোধ, চারিত্রিক উৎকর্ষ ও মনুষ্যত্ব বিকাশের জন্য এবং বর্তমান বিশ্বে টিকে থাকার জন্য সুশিক্ষা অতীব প্রয়োজন।......................................
জয়গবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এলাকার জনসাধারণের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে।
বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার তেমন কোন ইতিহাস জানা নাই। তবে তথ্যানুসন্ধান করে জানা যায় যে, বিদ্যালয়টির বর্তমান নামের পূর্বে নিতাইগঞ্জের কোন এক স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হচ্ছিল কিন্তু স্থান ও অর্থের অভাবে বিকশিত হতে পারছিল না। এমতাবস্থায় কুমিল্লার প্রসিদ্ধ জমিদার জয়গোবিন্দ রায় চৌধুরী ১৯২৪ সনে তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (ম্যাচ ফ্যাক্টরী) এর জমিতে স্থানান্তর করে বিদ্যালয়টি বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দেন। তখন থেকে বিদ্যালয়টি জয়গোবিন্দ রায় চৌধুরীর নামানুসারে জয়গোবিন্দ স্কুল নামকরণ করা হয়। এরপর ১৯৩৩ সনে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী স্বীকৃতি লাভ করে জয়গোবিন্দ হাই স্কুল নামে পরিচালিত হতে থাকে যার বাংলা নাম জয়গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়।
প্রতিষ্ঠাতাঃ স্বর্গীয় জয়গোবিন্দ রায় চৌধুরী।
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার তারিখ : ০১/০১/১৯২৪ ইং
বিদ্যালয়ের EIIN : 112417
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতার নাম : স্বর্গীয় জয়গোবিন্দ রায় চৌধুরী
বিদ্যালয় প্রথম স্বীকৃতির তারিখ : ০১-১২-১৯৩৩ খ্রী.
বিদ্যালয়ের ১ম এম.পি.ও ভূক্তির তারিখ : ০১-০৬-১৯৮৪
বিদ্যালয়ের মোট জমির পরিমান : ৬৭ শতাংশ
বিদ্যালয়ের কোড : ২৫১৭
বিদ্যালয়ের এম.পি.ও কোড : ৩০০৫০৩১৩০১
বিদ্যালয়ের স্বীকৃতির মেয়াদ : ৩১-১২-২০২৭
বর্তমান এডহক ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শুরুর তারিখ-: ৩০-০৪-২০২৫
১. প্রশাসনিকঃ
ম্যানেজিং কমিটির সভা: প্রতিমাসে ১ টি ( শেষ শুক্রবার)
বিধি মোতাবেক শিক্ষকদের শুন্য পদ পূরণ।
শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন প্রদান - ( প্রতিমাসের ১-৫ তারিখের মধ্যে)
২. আর্থিকঃ
২০২২-২০২৩ আর্থিক বছরের বাজেট প্রনয়ন।
প্রতি ৩ মাস অন্তর অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
৩. একাডেমিকঃ
শিক্ষক পরিষদের সভা ।
অভিভাবক সমাবেশ।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিলেবাস সরবরাহ।
মধ্যবর্ষ, প্রাক নির্বাচনী , নির্বাচনী ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহন ও ফলাফল প্রকাশ।
শিক্ষার মান উন্নয়ন কমিটির সভা।
ছাত্র ভর্তি কার্যক্রম। (০১-২০ জানুয়ারীর মধ্যে)
৪. উন্নয়নঃ
বিদ্যালয়ের চারোদিকে সীমানা প্রচীর নির্মাণ।
৩ তলা ভবন নির্মাণ।
বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের রাস্তা সম্প্রসারণ।
পুরাতন বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার ও মেরামত
৫. সহ- শিক্ষা ক্রমিক কার্যাবলিঃ
বার্ষিক ক্রীড়া পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান।
শ্রেণি ভিত্তিক সাধারণ জ্ঞান , রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
সকল জাতীয় দিবসে প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠান সম্পাদন করা।